আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল নয়, লুটেরা দলে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজশাহী মহানগরীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে বিএনপির গণসমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, শত প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে বিএনপি নেতাকর্মীরা তিনদিন ধরে অবস্থান করছে, একটাই কারণ আওয়ামী লীগের হাত থেকে তারা মুক্তি চান।
নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচন হতে হবে, তাছাড়া এদেশে নির্বাচন হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ঢাকার সমাবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগের ভয়ের শেষ নেই, কারণ তাদের নিজেদের ওপর আস্থা নেই। যখন সরকারের বিএনপিকে আটকানোর প্রয়োজন পড়ে, তখন জঙ্গি ধোঁয়া তুলে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ডিসেম্বরে এমন আন্দোলন গড়ে তোলা হবে, যাতে এক নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ৭ নভেম্বরের মত আরেকটি বিপ্লবই পারে পরিবর্তন আনতে।
এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ঢাকার সমাবেশে বাধা দেয়া হলে ওইদিন সরকারের পতন হবে, এটা নিশ্চিত।
বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, ‘সমাবেশের আগে বলেছিলাম, রাজশাহীর গণসমাবেশে সরকারকে হলুদ কার্ড দেখানো হবে। আজ হলুদ কার্ড দেখালাম, ইনশাল্লাহ ঢাকার সমাবেশে সরকারকে লাল কার্ড দেখানো হবে। যতই বাধা আসুক ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশে আমরা সরকারকে লাল কার্ড দেখাতে চাই।’
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে কোনো সমাবেশ হবে না: কামরুল ইসলাম
দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু হয়। তবে কেন্দ্রীয় নেতারা বিকেল ৩টা থেকেই বক্তব্য শুরু করেন। আর সমাবেশের প্রধান অতিথি মির্জা ফখরুল আসেন দুপুর ২টার পর।
এছাড়াও গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব হারুন অর রশিদ, রাসিকের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, কেন্দ্রীয় নেতা শফিকুল হক মিলন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদসহ অন্য নেতারা। সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি এরশাদ আলী ঈশা।