কবিতার কাছে, আবৃত্তির কাছে আমি চির ঋণী: আনিসুল ইসলাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | টুয়েন্টিফোর টিভি
প্রকাশিত : বুধবার, ২০২১ জুলাই ০৭, ০১:৪৬ অপরাহ্ন
জীবন তাকে ষোলআনা ভরিয়ে দিয়েছে কিনা জিজ্ঞেস করলে আনিসুল ইসলাম বলেন- "আরও অনেকটা সময় হাঁটা বাকি, কবিতার কাছে, আবৃত্তির কাছে আমি চির ঋণী। প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তি মিলেই জীবন। তাই সবকিছু নিয়ে ভালো থাকাই হলো আসল ব্যাপার। পৃথিবীটা তো স্বর্গ নয়।" প্রকৃত শিল্পী নিজের সাফল্যে কখনও সম্পূর্ণ উচ্ছ্বসিত হন না, ক্রমাগত নিজেকে নিজে ছাড়িয়ে যাওয়ার, নতুন নতুন প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে যান। কিন্তু তার বহুমুখী কর্মকাণ্ড ও প্রতিভার মধ্যে দিনশেষে কবিতাই যেন তার প্রকৃত ঠিকানা হয়ে উঠেছে।
আবৃত্তিশিল্পী হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত মন জয় করে চলেছেন অসংখ্য ভক্ত গুণগ্রাহীর, শিল্পীর আত্মকেন্দ্রিক চরিত্র থেকে বেরিয়ে এসে হয়ে উঠেছেন পুরোদস্তুর আবৃত্তির প্রশিক্ষকও, জুম এবং ইউটিউবে তার আবৃত্তির ক্লাসগুলো ইতোমধ্যে আবৃত্তি অনুরাগীদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে, কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে বয়স্ক ছাত্রছাত্রীরা বুক ভরে আশীর্বাদ করছেন তাদের শিক্ষককে, খুব উপকার পাচ্ছেন তারা। আনিসুলের কাছে কবিতা আবৃত্তি শুধু পরিবেশনা নয়, সুন্দর কথা বলা এবং মার্জিত ব্যক্তিত্ব প্রকাশের এটি একটি মাধ্যম, এইসব গুণাবলির চর্চা মানুষের মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে পারলে মানুষে মানুষে অসুস্থ কাদা ছোড়াছুড়ির প্রতিযোগিতা অনেকাংশে কমে আসবে।
ভক্তদের উদ্দেশ্যে কবিতাকেন্দ্রিক আরও একটি সুসংবাদ নিয়ে হাজির হচ্ছেন আনিসুল ইসলাম। যেহেতু কবিতাকে শুধু কণ্ঠে নয়, মগজেও ধারণ করে নিজেও লেখালেখি করে চলছেন, ২০২২ বইমেলায় আসছে তার প্রথম একক কাব্যগ্রন্থ। আবৃত্তি এবং কবিতা লেখা ছাড়াও তিনি আপাদমস্তক একজন কর্মী। জীবিকার তাগিদে কর্মরত আছেন চট্টগ্রাম বন্দরে। এছাড়া বাংলাদেশ বেতার এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রে কাজ করে যাচ্ছেন উপস্থাপক, ঘোষক, সংবাদপাঠক পরিচিতি নিয়ে। তার ভবিষ্যৎ স্বপ্ন শিল্প-সাহিত্য ও মানবসেবা। একটি পরিচ্ছন্ন, সহনশীল ও মুক্তবুদ্ধির চর্চা হবে এমন পৃথিবীর অনুসন্ধান করেন তিনি।