মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ সর্ত্তারকুল দায়রা শাখার উদ্যোগে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) ও বিশ্বঅলি শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক:)এর চন্দ্র বার্ষিকী ফাতেহা উপলক্ষে আজিমুশশান মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বাদে এশা হযরত ইয়াছিন শাহ্ পাবলিক কলেজের হলে আয়োজিত মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা গোলাম মোস্তফা শায়েস্তা খাঁন আল্ আযহারী। প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম কলেজের রসায়ন বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ড. নূ.ক.ম আকবর হোসেন।
প্রধান বক্তা ছিলেন মাওলানা মুজিবুল হক মাইজভাণ্ডারী। মাওলানা কুতুব উদ্দিনের সঞ্চালনায় তকরির করেন মাওলানা তরিকুল ইসলাম মাইজভাণ্ডারী, মাওলানা বাহাউদ্দীন ওমর। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি কেন্দ্রীয় পর্ষদের সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম চৌধুরী, তাঁজ মোহাম্মদ মিয়া মেম্বার, সাংবাদিক এম মাওলানা বেলাল উদ্দিন, বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন জীবন,মামুন মিয়া, মোহাম্মদ আলী মাষ্টার, আনিসউল খান বাবর, কাজী আসলাম উদ্দিন, নাজিমুদ্দিন কালু, আখতারুজ্জামান বাবর, মাওলানা মোহাম্মদ মোরশেদ রেজা আল্ কাদেরী, মাওলানা শহীদুল আলম, মাওলানা রাশেদ রেজা, মাওলানা শফি,ওসমান গণি মুরাদ, ইসমাইল হোসেন,আবু ছৈয়দ প্রমুখ। মাহফিলে বক্তারা বলেন,সারা পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই এই পৃথিবীতে সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:)কে শান্তির অমিয় বাণী দিয়ে পাঠিয়েছেন আল্লাহতায়ালা।
যারা সামাজিক পরিমণ্ডলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়, ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায়, রক্তপাত ঘটায়, ধ্বংসযজ্ঞ এবং নৈতিকতা বর্জিত ইসলামিক কর্মকাণ্ড চালায় তারা কখনো শান্তির ধর্ম ইসলামের অনুসারী হতে পারে না।শান্তির ধর্ম ইসলামে কোনোভাবেই নৈরাজ্য সৃষ্টি করার অনুমতি দেয় না বরং প্রতিটি ধর্মই শান্তি আর সম্প্রীতির শিক্ষা দিয়েছে। পৃথিবীর সব মানুষের ব্যক্তি জীবন,পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা ইসলামের লক্ষ্য।তারই আলোকে মাইজভান্ডার দরবারেও শান্তি সম্প্রীতি ও মানবতার শিক্ষা দেয়।এই দরবার অসাম্প্রদায়িক একটি দরবার।যেখানে সকল ধর্মের মানুষ মিলিত হয়, ইহকাল ও পরকালের শান্তির জন্য। মিলাদ কিয়া শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করা হয়।