গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ওএমএস (ওপেন মার্কেট সেল) চাল বিতরণে অনিয়ম এবং শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ডিলার বিভাষ হাজরার বিরুদ্ধে।
স্থানীয় বাসিন্দা জয় সাহা অভিযোগ করেন, তিনি আর্থিক সমস্যার কারণে প্রায়ই ওএমএস চাল নিতে যান, কিন্তু ডিলার তাকে চাল না দিয়ে ফিরিয়ে দেন। গত ৮ মে (বৃহস্পতিবার) চাল না পেয়ে অনুরোধ করলে ডিলার ও তার সহযোগীরা তাকে মারধর করেন।
জয় সাহা আরও জানান, ডিলার বিভাষ হাজরা নিয়মিতভাবে ব্যবসায়ীদের কাছে বড় পরিমাণে চাল বিক্রি করেন, অথচ সাধারণ মানুষকে নির্ধারিত ৫ কেজি চালও দেন না। এর আগে পাটগাতি লঞ্চঘাট এলাকার জামিলা বেগমকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে বিভাষ হাজরার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "আমি জয় সাহাকে মারধর করিনি। তবে চাল নেওয়ার সময় একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে।"
টুঙ্গিপাড়া উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা জানান, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, রাজধানী ঢাকাতেও ওএমএস পণ্যের জালিয়াতির অভিযোগে ডিলারকে কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মোহাম্মদপুর এলাকায় ৫ কেজির পরিবর্তে ২০ কেজি আটা বিক্রি ও হিসাবের গড়মিল থাকায় ডিলার প্রতিনিধি মো. ফারুক হোসেনকে এক মাসের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
এই ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি, যাতে সাধারণ মানুষ তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়।