গাজীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় আহত সাতজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, শুক্রবার দিবাগত রাতে গাজীপুর থেকে ১১ জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে আসেন। তাঁদের মধ্যে চারজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যান, বাকি সাতজনকে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে ১৭ বছর বয়সী কাশেমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। বাকিদের দুই-এক দিনের মধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হতে পারে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্য আহতরা হলেন ইয়াকুব (২৪), শুভ শাহরিয়ার (১৬), গৌরভ ঘোষ (২২), আবদুর রহমান ইমন (২০), সাব্বির খান হিমেল (২২) ও কাজী ওমর হামজা (২১)।
এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. ফারুক জানিয়েছিলেন, হাসপাতালে পাঁচজনকে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আহতদের মধ্যে তিনজন মাথায়, একজনের ডান হাতে এবং অপরজন শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইয়াকুবের ভাই মো. নাছির অভিযোগ করেন, তাঁর ভাইসহ অন্যদের ফাঁদে ফেলে গাজীপুরে মন্ত্রীর বাসার একটি কক্ষে আটকে রেখে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। তাঁদের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালানো হয়, যাতে তাঁর ভাই মারাত্মক আহত হন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, একদল বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা গাজীপুর মহানগরের ধীরাশ্রম এলাকায় মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা চালান এবং বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর করেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে মসজিদের মাইকে ‘ডাকাত পড়েছে’ বলে ঘোষণা দেওয়া হয়, যা শুনে এলাকাবাসী সেখানে জড়ো হয়ে বাড়িটি ঘিরে ফেলেন। এ সময় কয়েকজনকে মারধর করা হয়, যার ফলে অন্তত ১৫ জন আহত হন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে রাত পৌনে দুইটার দিকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। আন্দোলনের গাজীপুর শাখার নেতা মো. আবদুল্লাহ জানান, তাঁদের কাছে খবর আসে, ধীরাশ্রম এলাকায় সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চলছে। তখন তাঁদের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে তারা হামলার শিকার হন।