পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অধীনে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নতুন ১০তম অন্তবর্তীকালীন নবগঠিত ১৫ সদস্যের পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
নবগঠিত পরিষদের প্রথম নারী চেয়ারম্যান হিসেবে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে রবিবার এ দায়িত্বভার গ্রহণ করেন জিরুনা ত্রিপুরা। তিনি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের ১০ম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এসময় পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চৌধুরী, নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা, নির্বাহী প্রকৌশলী প্রতিপদ চাকমা সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৭ নভেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ নতুন পরিষদ গঠন করা হয়। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ, যা ১৯৮৯ সালে প্রণীত পৃথক আইন অনুযায়ী গঠিত, এই পরিষদে বর্তমানে ২ জন আদিবাসী নারী এবং ১ জন বাঙালিসহ মোট ৩ জন মহিলা সদস্যের পদ সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।
নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা তার বক্তৃতায় বলেন, "সম্প্রীতির কোনো বিকল্প নাই। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা হোক সাম্প্রদায়িক ও ধর্মীয় সম্প্রীতির জেলা। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলে আমরা বৈষম্যহীন সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করবো।" তিনি জেলার উন্নয়নে সবার সহযোগিতা কামনা করেন এবং এ পরিষদের প্রতি আস্থার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য কাজ করবেন বলে জানান।
নবগঠিত ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন বঙ্গমিত্র চাকমা, অনিময় চাকমা, মাহবুবুল আলম, শেফালিকা ত্রিপুরা, নিটোল মনি চাকমা, ধনেশ্বর ত্রিপুরা, প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা, মোঃ শহিদুল ইসলাম (সুমন), জয়া ত্রিপুরা, এ্যাডভোকেট মনজিলা সুলতানা, কংজপ্রু মারমা, কুমার সুইচিংপ্রু সাইন, সাথোয়াই প্রু চৌধুরী, এবং প্রফেসর আবদুল লতিফ। এসময় নবগঠিত জেলা পরিষদের সকল নেতৃবৃন্দ আগামীতে খাগড়াছড়িকে একটি বৈষম্য মুক্ত সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধি জেলা গঠনের জন্য কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।