বৈষম্যহীন কর্মক্ষেত্র, সময়ের দাবী এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) এর গৌরবোজ্জ্বল ৫৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও গণপ্রকৌশল দিবস ২০২৪ পালিত হয়েছে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে আধুনগর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের আয়োজনে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণ হতে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুণরায় ইনস্টিটিউটে এসে শেষ হয়।
র্যালির শুভ উদ্ধোধন করেন লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মুহাম্মদ ইনামুল হাছান।
র্যালি শেষে বিদ্যালয়ের হল রুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আধুনগর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুচের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মুহাম্মদ ইনামুল হাছান।
সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন আইডিইবির আহবায়ক কমিটির যুগ্ন আহবায়ক,লোহাগাড়ার কৃতি সন্তান প্রকৌশলী মোঃ জয়নাল আবেদিন।
আইডিইবির লোহাগাড়া উপজেলা শাখার আহবায়ক,নকশা ইঞ্জিনিয়ারিং এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মুহাম্মদ ইউসুফের সঞ্চালনায় সভায় অতিথি হিসে্বে উপস্থিত ছিলেন আধুনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান,আধুনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন,আধুনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য এডভোকেট মুহাম্মদ ইলিয়াছ,আধুনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুল করিম,আধুনগর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভাইস প্রিপ্সিপ্যাল অধ্যাপক নুরুল আমিন,আধুনগর গুল-এ-জার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামশুদ্দীন,বড়হাতিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক লোকমান হাকিম, লোহাগাড়া প্রেস ক্লাব সভাপতি এম সাইফুল্লাহ চৌধুরীসহ ইনস্টিটিউটের শিক্ষকবৃন্দ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মুহাম্মদ ইনামুল হাছান বলেন,আমরা সবাই মিলে একটি বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে চাই। বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে হলে আপনাদের বড় ভুমিকা রাখতে হবে। আপনাদের সততার সাথে কাজ করতে হবে। আমাদেরকে বেশি বেশি স্বপ্ন দেখতে হবে,পরিশ্রম করতে হবে, লেগে থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন,ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা পিছিয়ে নেই, এ দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক অবদান রাখছেন ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা। অর্থনৈতিক ভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।মানসম্মত শিক্ষা অর্জনে কারিগরি শিক্ষার অনেক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তাই প্রত্যেক পরিবার থেকে একজন করে কারিগরি শিক্ষা শিক্ষিত হয়ে এদেশে বিভিন্ন খাতে অবদান রাখতে সক্ষম হবে