বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত চন্দন দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চন্দন দাসের বয়স ৩৮ এবং তিনি বান্ডেল রোড সেবক কলোনির মৃত ধারীর ছেলে।
গত ৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে ভৈরব বাজার রেলওয়ে স্টেশনে সন্দেহজনক ঘোরাঘুরির সময় চন্দনকে আটক করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ।
চন্দন দাস চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে যাত্রা করে ভৈরব স্টেশনে পৌঁছান এবং তার শ্বশুরবাড়ি মেথরপট্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। তখনই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অ্যাডভোকেট আলিফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দীন গত ২৯ নভেম্বর ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখিতদের মধ্যে অন্যতম চন্দন দাস ছাড়াও আরও অনেকের নাম রয়েছে। এর মধ্যে বান্ডেল রোড সেবক কলোনির বাসিন্দা আমান দাস, শুভ কান্তি দাস, বিধান, রমিত, নয়ন দাস, গগন দাস প্রমুখের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালতে একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তার অনুসারীরা আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। একই দিন বিকেলে রঙ্গম কমিউনিটি হল সংলগ্ন এলাকায় সংঘর্ষের মধ্যে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এই হত্যাকাণ্ডের মামলায় এরই মধ্যে ৯ আসামিকে আদালত শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।