অস্ত্র ও জোর করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ধরে রাখার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক প্রতিরোধ ৫ আগস্ট সফলতার মুখ দেখে। সে সময়ের সক্রিয় সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এখন নিজেই অন্তর্বর্তী সরকারের অংশ। তার কাছে প্রশ্ন ছিল, আওয়ামী লীগ কি প্রকাশ্যে রাজনীতিতে ফিরতে পারবে?
নাহিদ ইসলাম বলেন, বিচারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত। তিনি উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগের অধ্যায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে শেষ হয়ে গিয়েছে, এবং এই প্রজন্ম মনে করে, এখন বিচারের মাধ্যমে সমাজে পুনর্মিলন (রিকনসিলিয়েশন) সম্ভব।
ভবিষ্যতের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের মূল্যায়ন কী হবে, এমন প্রশ্নের উত্তরে সরকারের তথ্য উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় মিথ্যার উপর দাঁড়িয়ে ছিল, তাদের প্রধান অস্ত্র ছিল প্রোপাগান্ডা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ পরাজিত হয়েছে, এবং শেখ হাসিনা অবৈধভাবে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি আরও বলেন, এত বছরের পুরনো দলটির নেত্রী নেতাকর্মীদের রেখে পালিয়ে গেছেন।
এদিকে, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র প্রতিদিনই চলছে, এবং নানা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। এর বিপরীতে ছাত্র-জনতার ঐক্য ও দীর্ঘদিনের বঞ্চিত রাজনৈতিক দলগুলোর নবোদ্যম প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে।
এই অবস্থায় ঐক্য বজায় রাখার চ্যালেঞ্জ নিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, জাতীয় ঐক্য ও রাজনৈতিক সমঝোতা দেশের উন্নতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি ঐক্য ভেঙে পড়ে, তবে তা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, সরকার থেকে বের হয়ে তারা অপতথ্য ছড়িয়ে, প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে, এবং আমরা সেই মিথ্যার বিরুদ্ধে সত্য তুলে ধরতে চাই। গণমাধ্যমের মাধ্যমে তারা এই সহায়তা চেয়েছেন।
মন্তব্য করুন