সিনহা হত্যা মামলা : ওসি প্রদীপসহ সব আসামির জেল হাজতে
নিজস্ব প্রতিবেদক | টুয়েন্টিফোর টিভি প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২০২০ আগস্ট ০৬, ০৬:৩৩ অপরাহ্ন
#
অবসরপ্রাপ্ত মেজর রাশেদ সিনহা হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকতসহ সব আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ পর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
টেকনাফ (আদালত নম্বর-৩) জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাং হেলাল উদ্দিন আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
জেলা হাজতে পাঠানো আসামীরা হলেন, টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছরা শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহারকৃত পরিদর্শক লিয়াকত আলী (৩১), এসআই নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, এসআই টুটুল। করোনাকালীন হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ৪ জন করে ২ দফায় আসামীদের হাজত খানা থেকে কাঠগড়ায় আনা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) বিকেলে কক্সবাজারের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তারা।
এদিকে, গ্রেপ্তারের পর চট্টগ্রাম থেকে পুলিশ হেফাজতে কক্সবাজারে নেয়া হয় টেকনাফ থানার প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপকে।
বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) বিকেল পাঁচটার দিকে কক্সবাজার পৌঁছে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন প্রদীপ কুমার দাশ।
বুধবার (৫ আগস্ট) সকালে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ ও বাহারছড়া চেকপোস্টের আইসি লিয়াকতসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন নিহতের বোন।
এই মামলায় বাহারছড়া চেকপোস্টের ইনচার্জ এস আই লিয়াকত হোসনকে ১ নম্বর ও প্রত্যাহারকৃত টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে ২ নম্বর আসামি করে আরো ৭ পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন: উপপরিদর্শক (এস আই) নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন, এ এস আই লিটন মিয়া, এস আই টুটুল, কনস্টেবল মো. মোস্তফা।
আদালতের নির্দেশে গতরাতে টেকনাফ থানায় নথিভুক্ত করা হয় মামলাটি। এর পরপরই এজাহারভুক্ত ৯ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে র্যাবকে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ। একে সরাসরি হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করছেন সিনহার স্বজনরা। সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেয়ার পর বিশ্ব ভ্রমণের পরিকল্পনা করছিলেন মেজর সিনহা রাশেদ। ভ্রমণ বিষয়ক একটি ইউটিউব চ্যানেল বানানোর কাজও চলছিলো তার। এরই অংশ হিসেবে সিনহা কক্সবাজারে ভিডিও তৈরির কাজে গিয়েছিলেন বলে জানায় তার পরিবার। পরে পুলিশ দাবি করে, আত্মরক্ষার্থেই গুলি করা হয় রাশেদকে।
মন্তব্য করুন