বাঁশখালীতে পাওয়ানা টাকা ফেরত চাওয়াতে সন্ত্রাসী কায়দায় বাজার থেকে ধরে নিয়ে ফরিদুল আলম নামের এক যুবককে বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার নাপোড়া বাজারস্থ অঞ্জন দেবের চায়ের দোকান থেকে ভিকটিম ফরিদুল আলমকে ধরে নিয়ে পুঁইছড়ি ইউপির ৮ নং ওয়ার্ড ভিলেজার পাড়া এলাকার মৃত মনির আহমদ প্রঃ মইন্নার পুত্র ইসমাইল হোসেন নেতৃত্বে একই এলাকার আব্দুর রশিদের পুত্র গোলাম আজিম, সুভাষ চন্দ্রের পুত্র সুভাষ, মো. হারুনের পুত্র মো. শাকিল, মৃত আহমদ হোসেনের পুত্র নুরুল আবছার, ভেউদ্যার পুত্র সালামত উল্লাহসহ আরও ১০-১২ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে ফরিদুলকে উদ্ধার করে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে পাঠানো হয়। এঘটনায় বাঁশখালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ভিকটিম ফরিদ। ভিকটিম ফরিদুল শেখেরখীল ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড এলাকার মৃত বদরুজ্জামানের ছেলে।
অভিযোগকারী ভিকটিম ফরিদ বলেন, অভিযুক্ত ইসমাইলের কাছ থেকে হাওলাতি বাবত পাওয়ানা ৫ হাজার টাকা ফেরত চাওয়াতে ক্ষিপ্ত হয়ে অঞ্জন দেবের চায়ের দোকানে উপরোক্ত সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আমার উপর হামলা চালায়, এপর্যায়ে তারা টেনে হেঁচড়ে দোকান থেকে বের করে একটি সিএনজিতে করে নাপোড়ার পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে উক্ত সন্ত্রাসীরা আমাকে ছুরিকাঘাত ও লোহার রড দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করে ফেলে। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও এখনো পর্যন্ত আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে প্রত্যক্ষদর্শী দোকান মালিক অঞ্জন দেব, রেজাউল করিম, মোস্তাক আহমদ, নির্মল দেব, আবুল হোসেন এবং নাপোড়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতিসহ অন্তত অর্ধশতাধিক লোক এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে বলেন, সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বাজার থেকে ফরিদুল আলমে প্রকাশ্যে হামলা এবং বাজার থেকে টেনে হেঁচড়ে পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত করার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা না হলে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে।
অপরদিকে অভিযুক্ত ইসমাইলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার মোবাইল সংযোগ পাওয়া যায়নি। তবে তার ভাইপোত শাহাব উদ্দিন বলেন, "আমার চাচা ইসমাইলের কাছ থেকে ফরিদুল টাকা পাবে একথা ঘটনার পরে শুনেছি, তবে ঘটনার দিন নাকি পাওয়ানা দিতে না পারায় ফরিদ আমার চাচার মোবাইল কেড়ে নেয়ার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকার কয়েকজন লোককে ফোন করে নেয়ার পর ওই লোকেরা এই ঘটনা করেছে বলে শুনেছি। তবে যারা ঘটনার মূল হোতা, তাদেরকে আসামী না করে তার এক ভাইকেও আসামী করা হয়েছে," বলেন শাহাব উদ্দিন।
বাঁশখালী থানা পুলিশ মামলারকারী অফিসার এসআই রুবেল চন্দ্র সিংহ বলেন, "এই ঘটনায় ভিকটিম ফরিদুল আলম বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে," বলে জানান তিনি।