করোনার উচ্চ সংক্রমণের ঝুঁকিতে চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | টুয়েন্টিফোর টিভি
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২০২১ মার্চ ৩০, ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত হারে বাড়ছে এবং এই মুহূর্তে ২৯টি জেলা করোনার উচ্চ সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামও।
সোমবার (২৯ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফেনী, চাঁদপুর, নীলফামারী, সিলেট, টাঙ্গাইল, রাজশাহী, নওগাঁসহ আরও কিছু জেলা রয়েছে এই উচ্চঝুঁকির তালিকায়।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, ২৪ ঘণ্টায় দেশে এ যাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে। আর এ সময়ের মধ্যে ৪৫ জন করোনায় মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, মার্চের ১৩ তারিখে সংক্রমণের মাত্রা উচ্চ ছিল ৬টি জেলায়, ২০ তারিখে দেখা গেছে ২০টি জেলা ঝুঁকিতে আছে। আর মার্চের ২৪ তারিখে দেখা গেছে করোনা সংক্রমণের হার উচ্চ এমন জেলার সংখ্যা ২৯টি।
তিনি জানান, রোগীর সংখ্যা ও সংক্রমণের হারের ভিত্তিতে এই ২৯ জেলা নির্বাচন করেছেন তারা।
করোনা ঝুঁকির মাত্রা প্রতি সপ্তাহেই বিশ্লেষণ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিভিন্ন জেলা থেকে পাওয়া তথ্য, রোগীর সংখ্যা, সংক্রমণের মাত্রা- এর ওপর ভিত্তি করে ঝুঁকিপূর্ণ জেলা চিহ্নিত করা হয়।
উচ্চঝুঁকির এসব জেলায় সংক্রমণ প্রতিরোধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে- এ প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, জেলা পর্যায়ে করোনা নিয়ন্ত্রণ কমিটি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোতে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেটা সেই কমিটি ঠিক করবে। অধিদপ্তর বিষয়টি মনিটরিং করবে।
তবে তিনি স্বীকার করেন, যারা প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন, তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার মতো টিকার মজুদ বর্তমানে দেশে নেই।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে সরকারের হাতে ৪২ লাখ টিকা মজুদ আছে। আর এপ্রিল মাসে কিছু টিকার চালান আসবে বলে সরকার আশা করছে।
তবে ‘আমরা চেষ্টা করছি সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নির্ধারিত সময়ে দেওয়ার জন্য’, যোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে প্রত্যেক জেলার হাসপাতালে অক্সিজেনের সুবিধা এবং অন্যান্য চিকিৎসা সুবিধা পর্যাপ্ত রয়েছে বলে দাবি করা হয়।
প্রসঙ্গত, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে পাঁচ হাজার ১৮১ জনের মধ্যে। নতুন শনাক্ত হওয়া রোগীদের নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছয় লাখ ছাড়াল।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বেশকিছু সুপারিশ করা হয়েছিল। এর ভিত্তিতে ইতোমধ্যে সরকার ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছে।