চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে অন্যজনের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন মোহাম্মদ সাবেত নামে এক রোহিঙ্গা নাগরিক।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) আরেক রোহিঙ্গা নাগরিক আনোয়ার কামালের ভোটার কার্ড ব্লক হয়ে যাওয়ায় তা যাচাই করতে গেলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ধরা পড়েন।
আটক রোহিঙ্গা নাগরিক মোহাম্মদ সাবেত (৪০) মিয়ানমারের বুতিদং শহরের মুনিং এলাকার আবদুল হাকিমের ছেলে। তিনি পটিয়ার আল জামিয়া আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার জামায়াতের এসএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র। সাবেত কক্সবাজারের বালুখালী ক্যাম্প-বি ব্লক ১৮-এর এবং আনোয়ার কামাল ক্যাম্প-১৭-এর বাসিন্দা। তারা দুজনই রোহিঙ্গা নাগরিক।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, রোহিঙ্গা নাগরিক আনোয়ার কামাল পটিয়া পৌরসভার দক্ষিণ গোবিন্দারখীল গ্রামের বাসিন্দা হিসেবে ভোটার হন। তার ভোটার নম্বর ৬৯০৮৩১৪৭৬৫। রোহিঙ্গা এ নাগরিকের ভোটার কার্ড নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে লক করে রাখা হয়, যার কারণে আনোয়ার কামালের নাগরিক সেবা বন্ধ হয়ে যায়। তিনি নিজে নির্বাচন অফিসে না গিয়ে রোহিঙ্গা নাগরিক মোহাম্মদ সাবেতকে পটিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে পাঠান। এ সময় নির্বাচন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলামের কাছে তার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে তিনি নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে ঢুকে আনোয়ার কামালের আইডি লক দেখতে পান। এরপর সাবেতকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি মিয়ানমারের নাগরিক বলে স্বীকার করেন।
পটিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, আনোয়ার কামাল ও মোহাম্মদ সাবেত দুজনই রোহিঙ্গা নাগরিক। তারা কক্সবাজার ক্যাম্প-১৭ ও ক্যাম্প-১৮-এর বাসিন্দা। সেখান থেকে পালিয়ে তথ্য গোপন করে ভোটার হয়েছেন। এর মধ্যে আনোয়ার কামালের আইডি সার্ভারে লক থাকায় তার নাগরিক সেবা বন্ধ রয়েছে। আটক সাবেত নির্বাচন অফিসে তথ্য যাচাই করতে গেলে সন্দেহ হয়। পরে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক ইয়ামিন সুমন জানান, রোহিঙ্গা নাগরিককে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে ক্যাম্পে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, এসব রোহিঙ্গাদের কারণে পটিয়ায় নানা অপরাধের ঘটনা ঘটছে।