প্রথম টি-টোয়েন্টি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে হারলো পাকিস্তান। বার্মিংহ্যামে বাবর আজমের দলের হারটা ২৩ রানের। এই হারে চার ম্যাচ সিরিজে ১-০তে পিছিয়ে পড়লো আনপ্রেডিক্টেবলরা।
পাকিস্তানের সামনে লক্ষ্য ছিল ১৮৪ রানের। দুই ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ০ আর সায়েম আইয়ুব ২ করে ফিরলে শুরুতেই ধাক্কা খায় তারা। বাবর আজমও ঠিক টি-টোয়েন্টির ব্যাটিংটা করতে পারেননি। ২৬ বলে ৩২ রান আসে পাকিস্তানি অধিনায়কের ব্যাট থেকে।
লড়াই যা করেছেন ফখর জামান। ২১ বলে ৪৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন এ বাঁহাতি। ৫ বাউন্ডারির সঙ্গে হাঁকান ৩টি ছক্কা।
শেষদিকে ইফতিখার আহমেদ (১৭ বলে ২৩) আর ইমাদ ওয়াসিম (১৩ বলে ২২) চেষ্টা করলেও সেটা দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ১৯.২ ওভারে ১৬০ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান।
ইংল্যান্ডের রিস টপলি ৪১ রানে ৩টি এবং মঈন আলি ও এক বছর পর দলে ফেরা জোফরা আর্চার নেন দুটি করে উইকেট।
এর আগে ১০ ওভারে শেষে ইংল্যান্ডের রান ছিল ১ উইকেটে ৯৬। পরের ১০ ওভারে পাকিস্তানি বোলারদের সামলে মোটে ৮৭ রান নিতে পারে ইংলিশরা।
শেষ ৫ ওভারে আরও চেপে ধরেন শাহিন শাহ আফ্রিদি-হারিস রউফরা। শেষ ওভারে মোহাম্মদ আমির ১৪ রান খরচ করার পরও শেষ ৫ ওভারে মাত্র ৩৯ রানে ইংল্যান্ডের ৪টি উইকেট তুলে নেয় পাকিস্তান।
ফলে বার্মিংহ্যামে জস বাটলারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পরও শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১৮৩ রানেই আটকে যায় ইংল্যান্ড।
বাটলার ওপেনিংয়ে নেমে ৫১ বলে ৮ চার আর ৩ ছক্কায় খেলেন ৮৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। এছাড়া উইল জ্যাকস ২৩ বলে ৩৭, জনি বেয়ারস্টো ১৮ বলে ২১ আর শেষদিকে জোফরা আর্চার ৪ বলে করেন অপরাজিত ১২।
পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদি ৪ ওভারে ৩৬ রান খরচায় নেন ৩টি উইকেট। ইমাদ ওয়াসিম মাত্র ১৯ রানে এবং হারিস রউফ ৩৪ রানে নেন দুটি করে উইকেট।