এফএ কাপের সেমিফাইনাল ম্যাচের ইতিহাসে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ম্যাচ মনে হয় এটিই। নাটকীয়তায় ভরপুর এই ম্যাচে ৬ গোলের পরও খেলা গড়ালো টাইব্রেকারে। শ্বাসরুদ্ধকর এই লড়াইয়ে ৩-৩ সমতা থাকার পর অবশেষে দ্বিতীয় সারির ক্লাব কভেন্ট্রি সিটিকে পেনাল্টিতে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে এফএ কাপের ফাইনালে উঠেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
রোববার রাতে ইংল্যান্ডের ঐতিহাসিক ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামের শেষের ফলাফল ছিল পুরোটাই আশ্চর্যজনক। ম্যাচের ৭০ মিনিটের সময় খেলার ফলাফল ছিল ৩-০। অর্থাৎ তিনগুণ ব্যবধানে এগিয়ে ম্যানইউ। তখন যেকোনো সমর্থকের কাছেই মনে হয়েছে 'বড় দল' ম্যানইউর বিপক্ষে বড় ব্যবধানেই হারতে যাচ্ছে কভেন্ট্রি। খেলা শেষ হতে হতে হয়তো আরও দুই একটি গোল দিতে পারবে ম্যানইউ।
কিন্তু এরপর যা হলো, তা দেখে তো ফুটবল সমর্থকদের চক্ষু চড়কগাছ। গোল দেওয়া দূরের কথা। ৩ গোল উল্টো হজম করে বসলো ম্যানইউ। যে দু:স্বপ্নের শুরুটা হয়েছে ৭১ মিনিটে আর দু:স্বপ্নটি ভেঙেছিল অতিরিক্ত সময়ের পঞ্চম মিনিটে। এর মধ্যেই ম্যানইউর জালে ৩ বার বল জমা করলো কভেন্ট্রি।
তবে শেষ পর্যন্ত আর রূপকথার গল্প বলার সুযোগ হয়নি কভেন্ট্রির। সর্বশেষ ১৯৮৭ সালে শিরোপা জয়ের পর প্রথমবারের মতো এফএ কাপের সেমিফাইনালে খেলা দলটি যেতে পারেনি ফাইনাল পর্যন্ত। তাদেরকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ২২তমবারের মতো ফাইনালে উঠেছে ম্যানইউ।
১২০ মিনিটের খেলা ৩-৩ সমতায় থাকার পর নিয়ম অনুযায়ী টাইব্রেকারের সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। টাইব্রেকার শ্যুটআউটে এসে প্রথম শটে ব্যর্থ হন ম্যানইউর কাসিমিরো। তবে বাকি ৪ শটের সবগুলোতোই গোল পায় ম্যানইউ। জয়সূচক শটটি করেন রাসমাস হজল্যান্ড। অপরদিকে তৃতীয় ও চতুর্থ শট মিস করে কভেন্ট্রি। ফলে ৪-২ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হয়।
এদিন ম্যানইউর হয়ে ম্যাচের মূল সময়ে গোল করেন স্পট ম্যাক তমিনয় (২৩ মিনিটে), হ্যারি ম্যাগেইর (৪৫+১) মিনিটে ও ব্রুনো ফার্নান্দেজ (৫৮ মিনিটে)। আর কভেন্ট্রির হয়ে গোল করেন ইলিস সিমস (৭১ মিনিটে), কালাম ও'হারে (৭৯ মিনিটে) ও হাজি রাইট (পেনাল্টি থেকে ৯০+৫ মিনিটে)।