প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) হয়ে সাঁতার কেটে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. সালাহ উদ্দিন। চার ঘণ্টা ৩১ মিনিট সময় নিয়ে তিনি এ দূরত্ব অতিক্রম করেছেন।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) তিনি কক্সবাজার জেলার টেকনাফের শাহ পরীর দ্বীপ থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত পানিপথে ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার সাঁতার কেটে পার হন।
বাংলা চ্যানেলের এ সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার ও এক্সটিম বাংলা নামের দুটি সংগঠন। এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন ৮০ জন প্রতিযোগী। এতে পঞ্চম স্থান অর্জন করেন সালাহ উদ্দিন।
এছাড়া বাংলা চ্যানেল পাড়ির এ প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েছেন চবির আরও দুই শিক্ষার্থী। তারা হলেন- স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের শফিউল হাসান ও পালি বিভাগের উজ্জ্বল চাকমা।
এদিকে প্রথমবারের মতো সাঁতার কেটে বাংলা চ্যানেল পার হওয়ায় মো. সালাহ উদ্দিনকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সহপাঠী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আর এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে অভিনন্দনের ছড়াছড়ি। সকলেই বলছেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গৌরবের।
২০১৭ সালে প্রথম বাংলা চ্যানেলের কথা জানতে পারেন মো. সালাহ উদ্দিন। এরপর থেকেই স্বপ্ন দেখতেন বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার। পাঁচ বছর ধরে নিজেকে সেভাবেই তৈরি করছেন। এরপর এবারই প্রথম অংশ নেন।
সেদিনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সমুদ্রে অনেক বড় ঢেউ ছিল। তাছড়া কুয়াশা ও বাতাসের কারণে দিক হারিয়ে ফেলছিলাম। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিলো হয়তো এই চ্যালেঞ্জে হেরে যাব। কিন্তু বাবা-মা’র দোয়া ও আল্লাহর রহমতে সুস্থ ভাবে শেষ করতে পেরে আমি গর্বিত।’ এসময় নিজের এই অর্জন বাবা-মা কে উৎসর্গ করার ঘোষণাও দেন সালাহ উদ্দিন।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি একটি দল শাহপরীর দ্বীপ থেকে বঙ্গোপসাগরে ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার সাঁতার কেটে পৌঁছায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে। আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফার ও স্কুবা ডাইভার কাজী হামিদুল হক ছিলেন এ দলের নেতা। তিনি সাঁতারের এ পথের নামকরণ করেন ‘বাংলা চ্যানেল’। সে বছর থেকে নিয়মিত এই প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে দেশ ও দেশের বাইরের সাঁতারুরা অংশ নেন।