বিশ^কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ২৮ মে ২০২৩ তারিখ সকাল ১০:৩০ টায় চবি সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) ও ১৬২তম রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর বেনু কুমার দে এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শেখ হাসিনা বিশ^বিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর ড. রফিক উল্লাহ খান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি প্রক্টর ১৬২তম রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব ড. মোহাম্মদ নূরুল আজিম সিকদার।
উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের চেতনার বাতিঘর। তিনি ছিলেন একজন মানবতাবাদী কবি, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাণপুরুষ। বাঙালি জাতি এবং বাংলা ভাষাকে তাঁর লেখনির মাধ্যমে তিনি সমৃদ্ধ করেছেন ।
উপাচার্য আরও বলেন, শোষণ, বঞ্চনা, সাম্প্রদায়িকতা, উগ্রতা, কূপমন্ডুকতা ইত্যাদির বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষুরধার লেখনি ছিল সবসময় সোচ্চার। কবিতা, গল্প, সাহিত্য, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক, সংগীত যেখানেই হাত দিয়েছেন সেখানেই তৈরি হয়েছে স্কুলিঙ্গ, সৃষ্টি হয়েছে নতুন মাত্রা।
উপাচার্য আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে কবিগুরুর চেতনাদৃপ্ত সংগীত ও কবিতা বাঙালি জাতিকে যুগিয়েছিল অদম্য সাহস ও শক্তি। এ মহান কবি যুগ যুগ ধরে বাঙালির হৃদয়ে চির অমর থাকবেন।
জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সূচিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন চবি সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা ও নৃত্য পরিবেশন করেন নৃত্যনীড়ের শিল্পীরা।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী লিলি ইসলাম।
অনুষ্ঠানে সংগীত শিল্পী লিলি ইসলামের পরিচিতি তুলে ধরেন চবি বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার সাঈদ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চবি শিক্ষার্থী পার্থ প্রতীম মহাজন ও অথই রহমান।
অনুষ্ঠানে চবি সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, চবি শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, রেজিস্ট্রার, কলেজ পরিদর্শক, হল সমূহের প্রভোস্টবৃন্দ, বিভাগীয় সভাপতি, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, অফিস প্রধানবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ও সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।