সংযুক্ত আরব আমিরাত গ্রীন সিটি আল আইন প্রবাসী মরুতীর্থ গীতা সংঘের উদ্যোগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড আন্তর্জাতিক শংকর মঠ ও মিশনের চতুর্থ আচার্য, যোগাচার্য পরমহংস শ্রী শ্রীমৎ স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজের ১১৬তম শুভ আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে গুরু পূজা, উপাসনা, গীতা পাঠ, ভজন কীর্তন, মাতাজিদের গুরু আরতি এবং ভক্তবৃন্দের অংশগ্রহণ ছিল। মন্দিরের একনিষ্ঠ ভক্ত স্বদেশানন্দ বড় সাধুর সভাপতিত্বে এবং বাসুদেব চৌধুরীর পরিচালনায় এক ধর্মীয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী সনজিত কুমার শীল। বাবা মনির জীবনী নিয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মিহির শর্মা। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শংকর সেন ও রাজীব সুশীল।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দোলন রায়, লিটন সুশীলসহ আরও অনেকে। বক্তারা বলেন, সনাতন ধর্মই আদিসত্য ধর্ম। যুগ যুগ ধরে এই ধর্ম প্রচলিত আছে। বাবা মনি জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অসৎকে সৎ, লজ্জা, বিনয়, সদাচার, পবিত্রতা, কল্যাণ স্পৃহা, আস্তিক্য, বুদ্ধি, ন্যায়নিষ্ঠার নব অভ্যুদয়ের মাধ্যমে শংকর মঠের সঙ্গে মিশন যুক্ত করে এটিকে রূপান্তরিত করেন শংকর মঠ ও মিশনে। আজ এটি বিশ্বব্যাপী সাধনপীঠ ও মানবসেবা কেন্দ্র হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত।
বাবা মনি সব সময় বলতেন— "গীতা পড়, গীতা ধর, গীতাকে জীবনসঙ্গী কর। তবেই আত্মদর্শন ও আত্মজ্ঞান লাভ করতে পারবে।" তিনি শংকর মঠে প্রচলন করেন 'অখণ্ড গীতা পাঠ', যা ২৪ ঘণ্টা শোনা যায়।
অনুষ্ঠানে পরিহিত করেন পিয়াস ঠাকুর। ভজন কীর্তন পরিবেশন করেন লিটন চৌধুরী ও লিটন সুশীল। নাম সংকীর্তন করেন শিমুল শীর্ষ ও সুব্রত দাস। অনুষ্ঠান শেষে বিশ্ব শান্তির বাণী এবং মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করা হয়।