পাকিস্তানের সমুদ্রসীমায় একটি বিশাল পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ আবিষ্কৃত হয়েছে। এটি এত বড় যে, সঠিক ব্যবহারে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির ভবিষ্যৎ বদলে যেতে পারে বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। খবর ডনের।
পেট্রোলিয়াম ও গ্যাসের এই মজুত নিশ্চিত করার জন্য একটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের সহযোগিতায় তিন বছরের একটি জরিপ পরিচালনা করা হয়। ভৌগোলিক এই জরিপের মাধ্যমে তেল ও গ্যাসের এই মজুতের অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে পাকিস্তান। এরই মধ্যে সরকারকে পাকিস্তানি জলসীমায় পাওয়া এই সম্পদের বিষয়ে জানানো হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, শিগগিরই অনুসন্ধান কাজ শুরু হতে পারে। কূপ খনন ও তেল উত্তোলনের কাজ করতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে।
পাকিস্তানি কর্মকর্তারা মনে করেন, শুধু তেল ও গ্যাস নয়, সমুদ্র থেকে আরও অনেক মূল্যবান খনিজ ও উপাদান আহরণ করা যেতে পারে। দ্রুত উদ্যোগ নিলে এবং সঠিকভাবে কাজ করলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে পারে। এ আবিষ্কার বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম তেল ও গ্যাস মজুত হতে পারে। বর্তমানে তেল মজুতে শীর্ষে রয়েছে ভেনেজুয়েলা। দেশটির প্রায় ৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ব্যারেল তেল মজুদ রয়েছে। সর্বাধিক অপরিশোধিত শেল তেলের মজুদ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। সৌদি আরব, ইরান, কানাডা ও ইরাক শীর্ষ পাঁচের বাকি অংশ পূরণ করে।
বিতর্কে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হচ্ছেন হ্যারিস ও ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন।
গুরুত্বপূর্ণ এক টেলিভিশন বিতর্কে উভয়ের মুখোমুখি হওয়ার কথা রয়েছে। এবিসির আয়োজনে মঙ্গলবার এ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়া শহরে। এটি উভয়ের মধ্যে প্রথম এবং সম্ভবত শেষ টেলিভিশন বিতর্ক হতে যাচ্ছে।
এর আগে জুনে ট্রাম্পের সাথে টেলিভিশন বিতর্কে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিপর্যয়ের পর তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহারে বাধ্য হন। ডেমোক্রেট দলের কনভেনশনে প্রার্থী হিসেবে তিনি কমলা হ্যারিসকে মনোনয়ন দেয়া হয়।
এদিকে লাখ লাখ আমেরিকান সামনের কাতারে থেকেই নির্বাচনী লড়াইয়ে মরিয়া উভয়প্রার্থীর ঝুঁকিপূর্ণ এই বিতর্ক প্রত্যক্ষ করবেন। এই বিতর্ককে উভয় প্রার্থীর জন্যেই গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল পরীক্ষা হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে।
এদিকে আমেরিকার নারী, কৃষাঙ্গ এবং দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে(৫৯) নিয়ে বিরোধী প্রার্থী ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক বক্তব্য থেমে নেই। বিতর্কের আগে জাতীয় জরিপে জনসমর্থনে ট্রাম্পের চেয়ে কমলা এগিয়ে থাকলেও ট্রাম্প তাকে খাটো করে দেখানোর জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
এদিকে বিতর্কেও ট্রাম্প তার আক্রমণাত্মক ভঙ্গি তুলে ধরবেন বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। কারণ কমলা হ্যারিস নির্বাচনী লড়াইয়ের মাঠে প্রবেশের কারণে ট্রাম্প(৭৮) হয়ে পড়েছেন মার্কিন নির্বাচনী ইতিহাসের সবচেয়ে প্রবীণ প্রার্থী।
রুটজার্স ইউনিভার্সিটি স্কুল অব কমিউনিকেশন এন্ড ইনফরমেশনের এরিন ক্রিস্টি বলেছেন,“ এই ধরনের একেবারে ভিন্ন ধরনের দুই প্রার্থী এর আগে কখনও মুখোমুখি হননি।”
তিনি বলেন, তাই এই বিতর্ক হবে খুবই আকর্ষণীয় ও সচেতনতামূলক এবং নির্বাচনে জয় পরাজয় নির্ধারণকারী।
হ্যারিস ও ট্রাম্পের মধ্যে মঙ্গলবারের এ বিতর্কই হতে পারে শেষ বিতর্ক। কারণ এখনও পর্যন্ত উভয়ের কেউই নতুন বিতর্কের বিষয়ে সম্মতি দেয়নি।
এদিকে বিতর্কের মঞ্চে সত্যিকার অর্থে কি মঞ্চায়িত হতে যাচ্ছে তা নিবিড়ভাবে প্রত্যক্ষ করতে অপেক্ষা করছে লাখ লাখ আমেরিকান।