সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশ দূতাবাস, আবুধাবি এবং বাংলাদেশ স্কুল যথাযথ মর্যাদায় ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করেছে। সকাল সাড়ে সাতটায় দূতাবাস ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষা সৈনিকদের স্মরণ করা হয়। দূতাবাসের কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, জনতা ব্যাংক, বাংলাদেশ বিমান, বাংলাদেশী স্কুল, বাংলাদেশ সমিতি, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স সংগঠন, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ সহ উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশী প্রবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। মান্যবর রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে দূতাবাসের অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং উপস্থিত বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গও তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয় এবং প্রধান উপদেষ্টা ও মাননীয় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ। বক্তাগণ মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন এবং ১৯৫২ সালে একুশে ফেব্রুয়ারির শহীদদের আত্মত্যাগ ও বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বীকৃতির কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ ভাষা শহিদ, মুক্তিযুদ্ধে শহিদ এবং জুলাই-আগস্ট ছাত্র-গণ আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। অন্যদিকে আবুধাবির শেখ খলিফা বিন জায়েদ বাংলাদেশ ইসলামিয়া স্কুলে অস্থায়ী শহীদ মিনারে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আমিরাত ইসলামিক প্রাইভেট স্কুল, জেমস স্কুল ও পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং শিক্ষকদের সম্মিলিত গান সহ বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদ, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ এবং ২৪ জুলাই-আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি এবং দেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।