ঢাকা , শনিবার, ২০২৪ নভেম্বর ২৩, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
#

বাণিজ্য

ইভ্যালির বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসছে

News Desk
প্রকাশিত : বুধবার, ২০২১ আগস্ট ১১, ০২:৪৯ অপরাহ্ন
#

দেশের ই-কর্মার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষকে প্রধান করে করা ওই কমিটি ইভ্যালিকে কারণ দর্শানোর জন্য বাড়তি সময় দেবে কি না তাও ঠিক করবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, উচ্চপর্যায়ের ওই কমিটির প্রথম বৈঠক হবে বুধবার (১১ আগস্ট)। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল কমার্স সেলের প্রধান হাফিজুর রহমান কমিটির সদস্যসচিব।

এ ছাড়া কমিটিতে এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, আইসিটি বিভাগ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও প্রতিযোগিতা কমিশনের প্রতিনিধি রয়েছেন।  
এর আগে গত ১৯ জুলাই কেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সে মর্মে ইভ্যালিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সুনির্দিষ্ট ৬টি বিষয় সম্পর্কে ব্যাখা চাওয়া হয় ওই নোটিশে। এর জবাব দেওয়ার শেষ দিন ছিল ১ আগস্ট। জবাবের পরিবর্তে ৬ মাসের সময় চেয়ে আবেদন করেন ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল।
ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তার চিঠিতে বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তের ক্ষেত্রে সময় স্বল্পতার কারণে সব তথ্য সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। ফলে প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত চিত্র ওই তদন্তে উঠে আসেনি।
এখন তিনি একটি নিরপেক্ষ নিরীক্ষকের মাধ্যমে কোম্পানির আর্থিক বিবরণী প্রস্তুত ও ভ্যালুয়েশন করে উপস্থাপন করতে চান। এ জন্য ৬ মাস সময় প্রয়োজন। ওই আর্থিক বিবরণীতে কোম্পানির মোট সম্পদ, দেনার পরিমাণসহ যাবতীয় তথ্য থাকবে।
রাসেল জানান, এ সময়ের মধ্যে ইভ্যালি আগে প্রতিশ্রুতি দেওয়া পণ্যের সরবরাহ শেষ করার সর্বাত্মক চেষ্টা করবে এবং প্রতি ১৫ দিন অন্তর সরবরাহের অগ্রগতি সম্পর্কে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানাবে।
ইভ্যালির বিরুদ্ধে ক্রেতার থেকে আগাম টাকা নিয়ে সময়মতো পণ্য সরবরাহ না করা এবং মার্চেন্টদের পাওনা পরিশোধ না করার অভিযোগ ওঠে।  এ কারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইভ্যালিতে তদন্ত করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তদন্ত করে গত ১৬ জুন প্রতিবেদন জমা দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদন্তে দেখা গেছে, গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত ক্রেতাদের থেকে ২১৪ কোটি এবং মার্চেন্টদের কাছে ১৯০ কোটি টাকা দায় রয়েছে। ওই সময়ে ইভ্যালির কাছে সম্পদ ছিল প্রায় ৯২ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৬৫ কোটি টাকা চলতি মূলধন।
ক্রেতা ও মার্চেন্টদের বিপুল পরিমাণ টাকা তাহলে কোথায় গেল এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক পরিস্থিতির এ চিত্র উঠে আসার পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ক্রেতা ও মার্চেন্টদের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে ইভ্যালির কাছে গ্রাহকের বকেয়া পাওনার তথ্য এবং ভবিষ্যতে কীভাবে এসব দেনা পরিশোধ করা হবে তার পরিকল্পনা জানতে চায়।
একইসঙ্গে গ্রাহক ও মার্চেন্টদের সুরক্ষা এবং ডিজিটাল কমার্স খাতের নেতিবাচক প্রভাব প্রতিরোধের লক্ষ্য ইভ্যালির বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video