লক্ষ্মীপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই নারীকে প্রকাশ্যে পিটিয়েছেন যুবলীগ নেতা রাশেদ আলম। রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের পশ্চিম সৈয়দপুর গ্রামের সাহাদুল্লাহ হাজী বাড়িতে এই ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার একটি ভিডিও রোববার রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে, যা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। মারধরকারী যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে এলাকাবাসী শোরগোল শুরু করেছে। তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রাশেদ এলাকা থেকে পালিয়ে গেছেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজনের সামনে রাশেদ আলম দুই নারীকে কাঠ দিয়ে মারধর করছেন। কিছু লোক তাকে আটকানোর চেষ্টা করলেও তিনি তাদের পাশ কাটিয়ে মারধর চালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা ওই দুই নারীকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান, যেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী দুই নারী হলেন ভাবনা আক্তার ও শেফালী বেগম, যারা একে অপরের নিকটাত্মীয়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভাবনার মা ফাতেমা আক্তার ২০০৩ সালে তার নানার বাড়ির জমি কিনেছিলেন। কিন্তু সেই জমি জোরপূর্বক তার মামাতো ভাই রাশেদ বিক্রি করে দেন। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে ভাবনা ও তার খালাতো বোন শেফালী রোববার ওই জমিতে ঘর নির্মাণের কাজে বাধা দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রাশেদ তাদের মারধর করেন।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, "ফেসবুকে ভিডিওটি দেখেছি। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত রাশেদকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।"