চট্টগ্রাম চন্দনাইশে শীতের আগমনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন লেপ-তুষক তৈরির কারিগর ধুনকেরা। প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১২টি লেপ-তুষক তৈরির অর্ডার পাচ্ছেন বলে জানালেন তারা। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,গত কিছুদিন আগে তিনদফা বৃষ্টির পর থেকে শীত পড়তে শুরু করেছে। রাতে শীত বেশি পড়ায় লোকজন শীতবস্ত্রের ঝুঁকছে দিন দিন। তাদের কাছে অনেকে আসছেন লেপ-তুষক তৈরি করতে। তুলা ও কাপড়ের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বছরের চেয়ে এ বছর লেপ-তুষক তৈরিতে খরচ বেশি পড়ছে। শিমুল তুলা প্রতি কেজি সাড়ে ৫শ থেকে ৬শ টাকা, কার্পাস তুলা প্রতি কেজি ২শ থেকে ৩শ টাকা, গার্মেন্টস তুলা প্রতি কেজি কালো হুল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কালো পঁচা তুলা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, সাদা তুলা ১০০ থেকে ১১০টাকা দরে বিক্রয় করছেন তারা।
এছাড়া তৈরি কাপড়ের গজ মান অনুযায়ী ৭০ থেকে ৮০ টাকা। আকার ভেদে মজুরী ৩শ থেকে ৬শ টাকা পর্যন্ত রাখা হয়। সব মিলিয়ে মোটামুটি ভালো মানের একটি লেপ তৈরি করতে ২হাজার টাকা খরচ হয়। একইভাবে তুষক তৈরিতে খরচ পড়ে ১৫শ থেকে ২ হাজার টাকা। গত বছরের থাকা মালপত্র দিয়ে এ বছরের কাজ এখনও পর্যন্ত চলছে বলে জানালেন অনেকে। তাদের মতে নতুন মান এলে দাম এর চেয়ে আরও বাড়তি দিতে হবে ক্রেতাদের। তখন একটি লেপ তৈরিতে খরচ পড়বে ২ হাজার টাকার চেয়ে বেশি এবং তুষক তৈরিতে খরচ পড়ে সাড়ে তিন হাজারের চেয়ে বেশি। পাইকারদের থেকে মাল কিনে এনে লেপ-তুষক তৈরি করে ক্রেতাকে দিয়ে থাকেন তারা। অনেক সময় দাম বৃদ্ধির বিষয়টা তারা বুঝতে পারেন না। এ জন্য ক্রেতাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটিও হয়।
এ ব্যাপারে চন্দনাইশ সদরের শাহ্ আমিন উল্লাহ ট্রোস এর স্বত্বাধিকারী মো. আলম মূলধন স্বল্পতার কথা জানিয়ে বলেন, লেপ-তুষক তৈরির কারিগরেরা নি¤œ-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। তাদেরকে প্রথমে দোকানের কর্মচারী থেকে কাজ শিখে এখন অনেকেই নিজে দোকান দিয়েছেন। এনজিও এবং ব্যাংক এমনকি এলাকার দাদনদের কাছ থেকে সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন তারা। তাদের দাবী সরকার মৌসুমী ভিত্তিক ঋণের ব্যবস্থা চালু করলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ পাবে। এ ব্যাপারে তারা সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। (ছবি আছে)