চট্টগ্রাম চন্দনাইশে সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো.নজরুল ইসলাম চৌধুরী,তার ভাই জসিম উদ্দিন চৌধুরী মন্টু, চন্দনাইশের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী ও তার ভাই চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুল কৈয়ূম চৌধুরী,চন্দনাইশ পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. মাহাবুবুল আলম খোকা,চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমেদ চৌধুরী জুনুসহ ১১২ জনকে আসামি মধ্যে ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২০–২৫ জন অজ্ঞাতনামা দিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
উক্ত মামলাটি ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চন্দনাইশ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড চন্দনাইশ আইডিয়াল স্কুলে ভোট কেন্দ্রে গোলাগুলি ঘটনায় চন্দনাইশ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড মধ্যম চন্দনাইশ মৃত আবদুল জব্বারের ছেলে ও পৌরসভা গণতান্ত্রিক শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি মো. আলমগীর বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের জন্য লিবালের ডেমোক্রেটিক পার্টি এল.ডি.পি প্রেসিডেন্ট ড. কর্ণেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম এর পক্ষে ছাতা মার্কায় ভোট প্রদানের নিমিত্তে বাদী মো. আলমগীর, ভিকটিম ও সাক্ষীগণ রাতে বৈঠক করে নিজ নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে আসামীগণ সকলে ৫-৬ টি পিকআপ,জীপ, মাইক্রোবাস ভর্তি করে ও ১০-১৫ টি মোটর সাইকেল নিয়ে আসামিগন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে,মারাত্মক অবৈধ অস্ত্র-সন্ত্র, আগ্নোয়াস্ত্র, বন্দুক পিস্তল, ককটেল, কিরিচ, দা, লোহার রড,লাটি ইত্যাদি নিয়ে চন্দনাইশ আইডিয়াল স্কুলে ভোট কেন্দ্র প্রবেশ করিয়া কেন্দ্র দখলে নিয়ে ব্যালেট পেপারে নৌকা প্রতীকে সীল প্রদান করিতেছে সংবাদ প্রাপ্ত হইয়া বাদী, ভিকটিম সহ এলাকাবাসী প্রতিরোধ ও বাঁধা প্রদানের জন্য আসলে আসামি পরস্পর যোগসাজসে দাঙ্গা সৃষ্টি ও হত্যার উদ্দেশ্যে বাদী ও ভিকটিমদের মারধর করে সাধারণ ও গুরুত্বর জখম, চুরি ও হুকুম প্রদান সহ গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভোট ডাকাতি করে।
এসময় আসামিদের এলোপাতারি গুলিতে মামলার বাদী আলমগীরসহ ১৬ জন গ্রামবাসী গুলিবিদ্ধ হয় এবং অনেকে আহত হয় মর্মে বলা হয়। চন্দনাইশ থানার (ভারপ্রাপ্ত) অফিসার ইনর্চাজ যুযুৎসু যশ চাকমা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।