আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কীভাবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকার পরও দেশ ছাড়লেন, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ‘গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ’ মামলার শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরও দেশে তিন মাস অবস্থান করেছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কেন তাকে গ্রেপ্তার করেনি এবং কীভাবে তিনি দেশের সীমানা অতিক্রম করতে সক্ষম হলেন, তা আদালতের কাছে ব্যাখ্যা দিতে হবে।
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। এর আদেশ যদি কোনো সংস্থা বা বাহিনী না মানে, তাহলে তা রাষ্ট্রের প্রতি অবজ্ঞা বলে বিবেচিত হবে। আমরা সবাইকে অনুরোধ করব, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের প্রতি আনুগত্যের চেয়ে সংবিধান ও আইন মানাকে অগ্রাধিকার দিন।”
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে। আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। সরকারের অন্যান্য মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যেও কেউ কেউ গ্রেপ্তার হন, কেউ বিদেশে পালিয়ে যান। তবে ওবায়দুল কাদেরের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে অস্পষ্টতা ছিল।