চট্টগ্রামের পটিয়ায় হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র ও মৎস্য সংরক্ষণে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে অংশীজন উদ্বুদ্ধকরণ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা বলেন, হালদা নদী দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি বাংলাদেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র, যেখানে রুই জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ঘটে। হালদা নদী থেকে সংগ্রহকৃত ডিম ও রেণু জাতীয় পণ্য বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা স্বপন চন্দ্র দে এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা (২য় পর্যায়) প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। এছাড়া আলোচনা করেন প্রধান বক্তা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্লাবন কুমার বিশ্বাস, পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইলিয়াস হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা আরও বলেন, প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত মাছের পোনা মানসম্পন্ন ও দ্রুতবর্ধনশীল হওয়ায় এর চাহিদা সবসময় বেশি। হালদা নদী বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে প্রতি বছর প্রায় ৮০০ কোটি টাকার অবদান রাখে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও দেশের মৎস্য খাতের উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে।
এছাড়া বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে প্রজনন ক্ষেত্রের উন্নয়ন, নদীর পরিবেশ রক্ষা, ডিম সংগ্রহকারীদের জীবনমান উন্নয়ন এবং মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিত করার পদক্ষেপের উপর আলোচনা করা হয়। হালদা নদী সংলগ্ন কর্ণফুলী, শিকলবাহা, চান্দখালি এবং সাংগু নদীতে মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানানো হয়।