শিম শীতকালীন সবজি। এই সবজি অল্প পুঁজি ও অল্প জায়গায় চাষ করে লাভবান হন কৃষক। চট্টগ্রামে হাটহাজারীতে দিন দিন শিম চাষে ঝুঁকছে বেশী। মূলত শিম চাষ আশ্বিন-কার্তিক মাসে রোপণ করলেও কিন্তু বেশী দামে বিক্রয়ের আশায় অনেক কৃষক গ্রীষ্মে আগাম চাষ করে থাকে। আগাম চাষ করার ফলে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় মাঠ জুড়ে চাষ করা হয়েছে আশ্বিনা, ইফসা, কার্তিকী, সাদা শিম (রহিম)সহ বিভিন্ন প্রজাতির শিম। কৃষকরা যারা আগাম চাষ করেছেন তারা ১০০-১২০ টাকা পর্যন্ত শিম এবং বিচি ১৮০-২০০ টাকা বিক্রি করেছেন। বর্তমানে ৪০-৫০ টাকা দামে শিম এবং শিমের বিচি ১২০-১৩০ টাকা বিক্রি করলেও কৃষকরা বলছেন আগাম বিক্রি করে পুঁজি উঠে যাওয়ায় বর্তমানে যেগুলো বিক্রি করছেন সেগুলো লাভ হচ্ছে। এবছর শিম বিক্রি করে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
এবছর উপজেলার ৯৫ হেক্টর জমিতে শতাধিক কৃষক আগাম শিম চাষ করেছেন। উপজেলার ফরহাদাবাদ, ধলই, দক্ষিণ পাহাড়তলী, পৌরসভা ও মেখল ইউনিয়নে বেশী শিম চাষ হয়েছে। মাঠে মাঠে শিমের আবাদ ভরে গেছে। কেউ কেউ শিম ক্ষেত পরিচর্যা করছেন আবার কেউ শিম তুলছেন।
পৌরসভার সুজানগর এলাকার কৃষক মো: রফিক জানান, ৩০ শতক জমিতে শিম চাষ করি। এই ৩০ শতক জমিতে বাঁশ, বীজ, কীটনাশক সহ খরচ হয়েছে ১২-১৫ হাজার টাকা। দফায় দফায় ৩-৪ বার শিম বিক্রি করেছি। এবছর আমি নিজে বাজার গিয়ে বিক্রি করার কারণে ভাল দাম মুনাফা হয়েছে। তিনি আরো জানান, গত বছর তুলনায় এ বছর ভাল ফলন হয়েছে। তবে ছত্রাকের কারণে অনেক শিম নষ্ট হয়েছে। শিম চাষ অল্প জায়গায় এবং পরিশ্রম কম লাগে। সেই সাথে মুনাফা হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ আল মামুন সিকদার জানান, শিম অল্প পুঁজি এবং সল্প পরিসরে জমিতে চাষ করা যায় এবং লাভজনক বেশি। গত বছরের তুলনায় এই বছর শিমের ফলন ভাল হয়েছে। কৃষকদের সময়মতোই সার-বীজ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মাঠ পর্যায়ে আমাদের কর্মকর্তারা কৃষি বিষয়ক পরামর্শ প্রদান করেছেন।