স্বাধীনতা যুদ্ধের দীর্ঘ ৫০ বছর পরও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি সম্মুখ সমরে অংশ নেওয়া লোহাগাড়ার শামসুল ইসলাম।
জানা যায়, ভারতের হরিনা আর্মি ক্যাম্পে ট্রেইনিং ইনস্ট্রাক্টর (সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম) মরহুম হাবিলদার ওয়াজিউল্লাহর ইউনিটে ১৪ দিন ট্রেইনিং শেষে দেশে এসে আবু সালেহ নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন গ্রুপ কমান্ডার শামসুদ্দিনের অধীনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার এরিয়ায় সম্মুখ সমরে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি।
তৎকালীন বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর অধিনায়ক জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী স্বাক্ষরিত স্বাধীনতা সংগ্রামের সনদ পেলেও এখনও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি মেলেনি। জীবনের শেষ বয়সে এসেও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি না মেলায় মুক্তিযোদ্ধা হয়েও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা এবং মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি
থেকে বঞ্চিত তিনি।
চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের মজিদের পাড়া গ্রামে শামসুল ইসলামের জন্ম।
তিনি জানান, যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে প্রবাসে চলে যাওয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের গ্যাজেটে নাম আসেনি। দেশে ফিরে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেও কোন কাজ হয়নি। সবশেষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আবেদনপত্রের অনুলিপি তিনি জামুকায় জমা দেন।
তিনি আরো বলেন, জামুকায় অনুলিপি জমা দেওয়ার পর বহুদিন চলে গেছে, জামুকা থেকে কোন চিঠি দিয়ে আমাকে কিছুই জানায়নি। আমি জানি না, কবে এ স্বীকৃতি পাওয়া যাবে। যে দেশের জন্য এত করেছি সে দেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃতি নিয়ে শেষশয্যায় যেতে পারব কি না জানি না।
এ ব্যাপারে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আখতার আহমদ সিকদার বলেন, শামসুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন, এতে কোন সন্দেহ নেই। দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকায় তালিকাভুক্ত হতে পারেনি, এখন কাগজপত্র জমা দিয়ে আপিলের সুযোগ রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান হাবিব জিতু বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কোন কিছু করার নাই। ২০১৭ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত নতুন ভাবে ৪ জনের নাম তালিকা এসেছে লোহাগাড়ায়। তবে, তিনি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)—তে দেখা করতে পারেন এবং বিষয়টি গুরুত্বের সহিত দেখবেন বলেও আশ্বস্ত করেন ।