কক্সবাজারের টেকনাফে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা পুলিশের মামলার তিন সাক্ষীকে কৌশলগত কারণে আজ রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) র‌্যাব এর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ নিশ্চিত করেছেন এই তথ্য। সকালে কক্সবাজার কারাগারে এই তিন আসামিকে আনার জন্য র‌্যাব এর একটি প্রতিনিধি দল গেলেও তাদের রিমান্ডে আনা হয়নি। এর আগে, কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক বুধবার (১২ আগস্ট) দুপুরে ৭ আসামির সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন তাদের। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া চার পুলিশ সদস্য হলেন: এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন। এছাড়া, বাকি তিনজন হলেন: পুলিশের দায়ের করা হত্যা মামলার সাক্ষী নূরুল আমীন, নিজাম উদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াছ। আজ থেকে সাক্ষী তিনজনের রিমান্ড শুরু করার কথা জানিয়েছিলো র‌্যাব। তারা হলেন, পুলিশের দায়ের করা হত্যা মামলার সাক্ষী নূরুল আমীন, নিজাম উদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াছ। র‌্যাব বলছে, কৌশলগত কারণেই এই তিন আসামিকে আজ নেয়া হচ্ছে না রিমান্ডে। অন্যদিকে, মামলার তথ্য-উপাত্ত হাতে নিয়ে পুলিশের সাত আসামিকে রিমান্ডে নেয়ার সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়েছে র‌্যাব। গত মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) কক্সবাজারের বাহারছড়া এলাকা থেকে সিনহা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন সাক্ষীকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা রাশেদ খান। তখন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ধামাচাপা দিতে উল্টো মামলা করেছিলো পুলিশ। পরে ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পরদিন ৬ আগস্ট বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপসহ সাত আসামি কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। মামলায় বাকি যে দুই আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের কোনো হদিস মেলেনি।