বেপরোয়া লরি তীব্র গতিতে এসে পেছন দিক থেকে ধাক্কা দেয় মাছবাহী পিকআপ ভ্যানকে। তাতে ঘটনাস্থলেই ২ শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড বাস স্টেশন এলাকায় এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
রোববার (১০ অক্টোবর) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত দুজন হলেন, মেহেদি হাসান জনি (১৩) ও সিয়াম (১০)। এরমধ্যে মেহেদি হাসান জনি পিকআপ ভ্যানে ছিল। আর সিয়াম হলেন পথচারী। নিহত জনি জোরারগঞ্জ থানা এলাকার মোহাম্মদ আলগীরের ছেলে ও মোহাম্মদ সিয়াম আহত মিন্টু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, এই ঘটনায় মিরাজের বাবা মিন্টু মিয়া গুরুতর আহত হয়েছেন। মিরাজ ও তার বাবা মিন্টু মিয়া সকালে নাস্তা করতে বের হয়ে রাস্তা পার হওয়ার অপেক্ষা করছিলেন।
গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হোসেন।
এ বিষয়ে কুমিরা হাইওয়ে পুলিশের এটিএসআই মাহমুদুল বলেন, সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকামুখী লেইনে একটি লরি পেছন দিক থেকে মাছবাহী পিকআপকে ধাক্কা দেয়। এতে লরি ও পিকআপটি উল্টে রাস্তার পাশে পড়ে যায়। এতে পিকআপে থাকা মেহেদি হাসান জনি ঘটনাস্থলে মারা যান। আর লরির নিচে চাপা পথচারী সিয়াম ঘটনাস্থলে মারা যান। পরে পুলিশ গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় আহত মিরাজের বাবা মিন্টুকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, লং ভেহিক্যাল ও পিকআপটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছে। মরদেহ উদ্ধার করে কুমিরা হাইওয়ে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
মন্তব্য করুন