চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন বদ্দারহাট এলাকায় আবাসিক হোটেল ব্যবসার আড়ালে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা, মাদক ও জুয়ার আড্ডা।
কক্ষে কক্ষে মধু কন্যাদের দিয়ে দেহ ব্যবসা পরিচালনা করছেন হোটেল মালিক কর্তৃপক্ষ।
নগরীর বদ্দারহাট এলাকায় অবস্থিত নিরিবিলি পপুলার ও গুলজার আবাসিক হোটেল যেন বর্তমানে রূপান্তরিত হয়েছে পতিতালয়ে। পাশাপাশি চলছে মাদক সেবন ও জুয়ার আড্ডা, তবে প্রশাসন এ ব্যাপারে নীরব।
সরজমিনে দেখা যায়, বদ্দারহাটের পপুলার আবাসিক হোটেলে রুমের মধ্যে মাদক সেবন করছে কয়েকজন মাদকসেবী। ক্যামেরার উপস্থিতিতে তারা টের পেয়ে দ্রুত সরে পড়েন। নিরিবিলি ও গুলজার আবাসিকের অবস্থা আরো নাজুক। নিরিবিলি আবাসিক হোটেলে দুই থেকে তিন হাজার টাকা দিয়ে রাত্রি যাপন করার জন্য সুন্দরী রমণী পাওয়া যাচ্ছে। গুলজার আবাসিকেও একইভাবে সুন্দরী রমণী নিয়ে রাত্রি যাপনের সুবিধা রয়েছে। পাশাপাশি অপাপ্ত বয়স্ক স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদেরও দেওয়া হচ্ছে রুম। ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না কোন ধরনের বৈধ কাগজপত্র।
নিয়ম-শৃঙ্খলার তোয়াক্কা করছে না হোটেল কর্তৃপক্ষ, রাজনৈতিক শেল্টারে চলছে অসামাজিক কর্মকাণ্ড। দলীয় নাম ভাঙিয়ে অসামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন হোটেল মালিকরা।
এ সকল অসামাজিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকের উপর চড়াও হন হোটেল কর্তৃপক্ষ। তারা সাংবাদিককে হুমকি প্রদান করেন এবং এক পর্যায়ে ক্যামেরায় হাত দিয়ে ভেঙে ফেলার হুমকিও প্রদর্শন করেন।
বদ্দারহাটের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কিভাবে দিনে দুপুরে এসব অসামাজিক কর্মকাণ্ড চলছে, এমনটা জনমনে প্রশ্নের সৃষ্টি করছে। এলাকাবাসীর দাবি, কিছুদিন আগে গুলজার আবাসিকে এক পতিতার লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল, এরপরও তারা সংশোধন হয়নি। হোটেলগুলো এখনো দিনে দুপুরে অসামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে, এবং প্রশাসন এ বিষয়ে নিরব ভূমিকা পালন করছে। ফলে তারা এ সাহস পাচ্ছে বলে মনে করেন অনেকে।
চাঁন্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আফতাব উদ্দিনের কাছে এই বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা বিভিন্ন সময় হোটেলে অভিযান পরিচালনা করে আসছি। উপযুক্ত প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি আরও বলেন, “অসামাজিক কর্মকাণ্ড বন্ধে জনসচেতনতা অত্যন্ত জরুরি।”
এই সকল অসামাজিক কর্মকাণ্ড বন্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি না হলে অপরাধীরা প্রতিনিয়ত অপরাধে লিপ্ত হবেন এবং তরুণ সমাজ সামাজিক অবক্ষয়ে আক্রান্ত হবে, এমনটাই দাবি সুশীল সমাজের।