চট্টগ্রামের চন্দনাইশে কথা কাটাকাটির জেরে দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে অকটেন ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়ে মেরেছে এক পাষণ্ড স্বামী। এতে ওই গৃহবধূর শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গতকাল সন্ধ্যায় উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডস্থ বাউলিয়া পাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর নাম নাজমা আক্তার। সে ওই এলাকার সেলিমের মেয়ে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী দোহাজারী পৌরসভার জামিজুরী এলাকার আব্দুছ ছালাম ওরফে আবদুলের ছেলে আব্দুল জব্বারকে দোহাজারী থেকে আটক করেন পুলিশ। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হাশিমপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইদ্রিস মিঞা জানান, "দোহাজারী পৌরসভার জামিজুরী এলাকার আব্দুচ ছালামের ছেলে আব্দুল জব্বারের সাথে হাশিমপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের বাউলিয়া পাড়া এলাকার সেলিমের মেয়ে নাজমা আক্তারের বিয়ে হয় বিগত ৬/৭ বছর আগে। ওই দম্পতির দুইটি সন্তানও রয়েছে। গত একমাস আগে পারিবারিক কলহের জেরে নাজমা অভিমান করে বাবার বাড়ি চলে আসে। গত একমাস যাবত সে শ্বশুর বাড়ি ফেরেনি। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় নাজমা রান্না করা অবস্থায় তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে স্বামী জব্বারের হাতে থাকা প্লাস্টিকের বোতল থেকে অকটেন নাজমার গায়ে নিক্ষেপ করলে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ঝলসে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে দোহাজারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) রেফার করেন। সেখানের চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় নিহত গৃহবধূর ভাই তারেক রহমান বাদী হয়ে থানায় অভিযুক্ত আব্দুল জব্বারকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমরান আল হোসাইন সত্যতা নিশ্চিত করেন।