জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ সহ কিশোরী ও মাতৃমৃত্যু হার কমানোর লক্ষ্যে মাসব্যাপী এইচপিভি প্রথম ডোজের টিকা কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ডা. মোঃ সারোয়ার বারী।
বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর খাস্তগীর সরকারি স্কুলে জরায়ু ক্যানসার প্রতিরোধে টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। স্বাস্থ্য সচিব বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভ্যাকসিনটির অপপ্রচার নিয়ে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। এ এইচপিভি টিকার গুরুত্ব ও উপকারিতা সম্পর্কে রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী, ক্লাব সংগঠন ও মসজিদের ইমাম এবং মন্দিরের পুরোহিতদের তুলে ধরার আহ্বানও জানান তিনি। পরে তিনি টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন এবং এ কার্যক্রমের খোঁজ খবর নেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও শিক্ষার অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী, চসিকের প্রধান নির্বাহী শেখ তৌহিদুল ইসলাম, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগীয় পরিচালক শাহনাজ পারভীন, চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ইমাম হোসেন রানা ,মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা পরিচালক ড. গাজী গোলাম মওলা, পরিচালক, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম, ইউনিসেফ হেলথ অফিসার ডাঃ দেলোয়ার হোসেন সহ অন্যান্যরা।
এ ভ্যাকসিনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে মোট ১ লক্ষ ৩৬ হাজার টিকা। এ টিকা দেওয়া হবে ১০ বছর থেকে ১৪ বছরের বেশি কিশোরীদের মাঝে। ১ মাস ব্যাপী টিকা প্রদান করা হবে জন্মনিবন্ধন দিয়ে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে। জন্মনিবন্ধন নেই এবং বাদ পড়া কিশোরীরা এ টিকা যেকোন স্হায়ী ও অস্হায়ী কেন্দ্রে ওয়াইট তালিকার মাধ্যমে নিতে পারবে বলে জানিয়েছেন কার্যক্রমের দায়িত্বপ্রাপ্তরা।